ঘটনা গেল রবিবারের। ইন্দোরে শুটিং করছিলেন কাশ্যা পাঞ্জাবি নামে এক অভিনেত্রী। তারই ফাঁকে ঘুরে দেখছিলেন ইন্দোর শহর। সঙ্গে ছিলেন প্রযোজক বন্ধু সন্তোষ গুপ্ত। নতুন শহর, যা দেখছিলেন বিভোর হয়ে যাচ্ছিলেন ওই অভিনেত্রী।
বিশেষ করে ইন্দোরের রাস্তার পাশের খাবার দোকানগুলো মুগ্ধ করেছিল কাশ্যাকে। কথায় কথায় সঙ্গের প্রযোজক বন্ধু বলেছিলেন, এখানকার এক দোকানের ফুচকা এবং চাট খুব বিখ্যাত। ব্যস! জিভে পানি এসে যায় কাম্যার। গাড়ি নিয়ে সোজা চলে যান সেই ফুচকার সন্ধানে।
ফুচকা বিক্রেতার হাত চলছিল ম্যাজিকের মতো। একটা ফুচকা মুখে দিতে না দিতেই চোখ বুজে আসে অভিনেত্রী কাম্যার। সুস্বাদু ফুচকা কতগুলো যে খেয়ে ফেলেন, হিসাব নেই। জায়গাটাও তার এত পছন্দ হয়ে যায় যে, ফুচকা খেয়েই আশপাশের ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
তার ফাঁকে হাতের খামটা কোথায় রেখেছেন তার হুঁশ ছিল না কাম্যার। সেই খামে ছিল এক লাখ টাকা! খেয়েদেয়ে ছবি তুলে যেই না হোটেলে ফিরেছেন, কাম্যার মনে পড়ে সেই খামের কথা। যাঃ! আর কি পাবেন? আবার অত দূর যাওয়ার মানেই হয় না।
মুম্বাইয়ের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইন্দারের সেই অভিজ্ঞতার কথাই বললেন অভিনেত্রী কাম্যা। কিন্তু টাকা ফিরে পেলেন কি?
অভিনেত্রী জানান, বন্ধু সন্তোষ বার বার করে বলায় অবশেষে ওই ফুচকার দোকানে ফিরে গিয়েছিলেন তিনি। গিয়ে যা দেখলেন, নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছিলেন না। ঠিক যেখানে খামটা ফেলে এসেছিলেন, সেই টেবিলটার উপরেই পড়েছিল। কেউ স্পর্শও করেনি।
দোকানের মালিক দীনেশ গুজ্জরের সঙ্গে কথা বলে খামটি নিয়ে আসেন কাম্যা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘এত আশ্চর্য হইনি এর আগে। ধন্যবাদ দিলেও তাদের ছোট করা হয়। ইন্দোরের মানুষ এত ভালো এবং উদার, আমি সে দিনই জানলাম!’